শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ইসিটি) এখন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটি শিক্ষার্থীদের, শিক্ষকদের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি?
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information and Communication Technology – ICT) হলো তথ্য, ডেটা এবং তথ্যসমূহের সংগ্রহ, সংশোধন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং পরিসংখ্যানের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিসমূহ ও যন্ত্রাংশগুলোর সমন্বয়। এটি তথ্য প্রযুক্তির একটি বিশেষ অংশ, যা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংক্রান্ত তথ্য এবং ডেটা প্রক্রিয়া করার জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তি ও সরঞ্জামসমূহের সমন্বয় করে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উদাহরণ হতে পারে কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, ইমেইল, সাইবার সুরক্ষা, সামরিক যন্ত্রাংশ, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি। এই প্রযুক্তিগুলো শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পাঠ দেওয়া, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সময়সীমিত যোগাযোগ সম্পন্ন করা, অনলাইন মাধ্যমে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমুল পরিবর্তন এনেছে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার প্রক্রিয়া সহজ ও সহজযোগ্য হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার যেগুলো এখনকার সময়ে এসে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও অনুশীলনের জন্য মাল্টিমিডিয়া সম্প্রচার (Multimedia Broadcasting)
শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রক্রিয়া সহজ এবং সহজগ্রাহ্য করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ভিডিও লেকচার, অডিও বুক, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, গ্রাফিক্স এবং অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে সরাসরি সংযোগ করা যায়। এটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উপযুক্ততা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
দূরবর্তী শিক্ষা (Distance Learning)
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দ্বারা দূরবর্তী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। শিক্ষার্থীরা মূল পঠ্যবই, অনলাইন কোর্স, ভিডিও কনফারেন্স, স্কাইপ অথবা অন্যান্য সাম্প্রতিক কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাঠ শুনতে পারেন এবং উদাহরণস্বরূপে অনলাইন পরীক্ষা দিতে পারেন। দূরবর্তী শিক্ষা শিক্ষার্থীদের বেশি সময় এবং স্থানের স্বাধীনতা দেয় এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাম্প্রতিক যোগাযোগ (Real-time Communication between Teachers and Students)
ইসিটির ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাম্প্রতিক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। ওয়েব কনফারেন্স, ইমেইল, চ্যাট অ্যাপস, ফোন কল ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে।
শিক্ষার্থীদের উন্নত মূল্যায়ন (Enhanced Assessment for Students)
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উন্নত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। অনলাইন পরীক্ষা, কোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, মূল্যায়ন অ্যাপস এবং ইউনিকোডিং পরিসংখ্যান ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি পরীক্ষা, উত্তরপত্র এবং অনুসন্ধানের পরিণাম সম্পর্কে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি (Enhanced Student Productivity)
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিক্ষার্থীরা অনলাইন সময় পরিচালনা করতে পারেন, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মে সময় ব্যবহার করতে পারেন, সহজেই উৎস ও উপাদানের সন্ধান করতে পারেন। ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সঠিক তথ্য জানতে পারেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব কী?
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা আধুনিক সমাজে একটি ক্রিটিক্যাল রোল পালন করে। তথ্য প্রাপ্তি, শিক্ষার মান উন্নতি, যোগাযোগ ও সহযোগিতা ইত্যাদি ভূমিকা পালন করে।