৯ম পে স্কেল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

3 Min Read

৯ম পে স্কেল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার: সর্বশেষ ২০১৫ সালে বেতন কাঠামো ৮ম পে স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল যা এখন পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে। ৮ম পে স্কেল ঘোষণার সময় স্থায়ী পে কমিশন গঠনের প্রস্তাব থাকলেও সেটি এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। অন্যদিকে, সরকারি কর্মচারীগণ ৮ম জাতীয় পে-স্কেল অনুযায়ী বার্ষিক প্রায় ৫% হারে ইনক্রিমেন্ট পেয়ে থাকেন। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ বেতন বৃদ্ধির ধাপগুলো সেভাবে সাজানো হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বাজারে মূল্যস্ফীতির সাথে বেতন বৃদ্ধির সমন্বয় করা হয়। গত ৭ বছরে ৩০% বেতন বৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফীতি বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭-৪০%। এমতাবস্থায় দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির ফলে নতুন পে কমিশন গঠনের মাধ্যমে ৯ম পে স্কেল ঘোষণাসহ অন্যান্য বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এ দাবিতে মাঠেও নেমেছেন সরকারি কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। তবে আশার কথা হলো ২০২৩ সালে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।

৯ম পে স্কেল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

আরও পড়ুন- নবম পে স্কেল এর সর্বশেষ খবর

নবম পে স্কেল-২০২৪ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। যেহেতু ইনফ্লেশন বেড়ে গেছে, তাই ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন যেন বাড়তে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।

সোমবার (১৫ মে) বিকেল সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫ সালে আমরা যখন বেতন ভাতা বৃদ্ধি করি, আমরা একটা গবেষণায় দেখেছিলাম যে ইনফ্লেশনের (মুদ্রাস্ফীতি) সাথে সাথে একটা পারসেন্ট হারে বেতন বাড়বে। প্রতি বছরের হিসাব মতে ইনফ্লেশন যত বাড়বে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বেতন বাড়াই। অনেক সুযোগও দিয়েছি, বৈশাখী ভাতা থেকে শুরু করে, ফ্ল্যাট কেনার ভাতা, গাড়ি কেনার লোন ইত্যাদি।

তিনি বলেন, যেহেতু ইনফ্লেশন কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা সেই জায়গায় আবার কতটুকু পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করছি। প্রতি বছরের হিসাব মতো ইনফ্লেশন যত বাড়বে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বেতন বাড়াব। তাছাড়া অনেক সুযোগও দিয়েছি। বৈশাখী ভাতা থেকে শুরু করে ফ্ল্যাট কেনার লোন, গাড়ি কেনার লোনসহ অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই করোনার সময়, ইউক্রেন যুদ্ধের সময় বাজেট যে করতে পারছি এজন্য ধন্যবাদ জানাবেন। বাজেটের প্রস্তুতি ঠিকঠাক করে দিয়েছি। কোনো অনাথ এসে কী বলছে সেই দায়িত্ব তো আমরা নেব না। আইএমএফ লোন তাদেরকেই দেয় যাদের লোন পরিশোধ করার সক্ষমতা থাকে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এতো অনাথ হয়নি। দেওয়ার মতো সামর্থ্য আছে বলেই আমরা নিয়েছি, এটা বাস্তব কথা।

Share This Article
Leave a comment